নিকানো
বাড়ির সামনে দিয়ে
চলে যায়নি
সাদা কাচের নদী।
সারিয়ে নিলাম ভাঙা
চশমা।
রঙের পিঠে হাত বুলিয়ে
তাকে নিরাময়ে আনি।
একঝাঁক চিঠি।
উড়ছে এয়ারোড্রোমের
সন্ধেবেলায়।
সারা জীবনেও নতুন
জমানো কারোর খবর
কোনও নক্ষত্র বা হলুদ
পাতার কাছে
পৌঁছে দিইনি।
ওখানেই তো মাধ্যাকর্ষণের
শেষ।
খুল যা সিমসিম গান
গেয়ে
সূচ ও সুতো
আধখোলা চোখে দেখে
নিজের ভবিষ্যৎ।
মাউস-বৃক্ষ থেকে ইঁদুর
নেমে
অনুবাদ করে কমপিউটরের
মরচেগুলো।
রাত্রিবেলা সরসবতী
বৃষ্টি মেখে শরীর
ধুচ্ছে শরীর থেকে।
প্রস্তাবনা
বালিকা জলের কাছে।
চুল ছড়িয়ে দিলে চাঁদ
ও কুঠার উঠে আসে।
বাংলাশব্দের এই থ্যাঁতলানো
টিকটিকি।
অস্পষ্ট জল।
তা কি নিজেরই ইচ্ছায়?
উড়ে আসে একে একে।
টেবলে জড়ো হচ্ছে, রূপকথার মিথ্যে ছায়ারা।
গোলাবাড়ির প্রতিধবনি
এবং স্কুলিং-ও তাহলে
শেষতক এলো!
দ্বিতীয় পৃথিবীতে
ভালোবাসা শুরু হয়।
মা শুরু হয়।
পুরানো দিনের গান
গাইতে গাইতে
শুঁয়োপোকা ওষুধের
দোকান খোলে।
সারাদিন হাঁটার পর
একোরিয়ামে মাছ
জুতো খুলছে।
সকালবেলা অলক্ষী
লাবণ্য লাবণ্য বলে
ডাকছে পৃথিবীর শূন্যগুলিকে।
জন্ম
মৃত গাছের খোলা চোখ।
পৃথিবীর সব রং সেখানে স্থানীয় হয়ে গেল।
জলাশয় টপকালেই দেশ পাল্টে যায়।
রোগা হয়ে আসা ইশারা।--
সন্ধেবেলা গানের স্কুল খুলে দিদিকে
নিয়ে আসে ।
বানজারা চোখ।--
সামনে ওই সমতল, শুরু হওয়া আধপোড়া রুটি।
কোনো বন্ধু ছাড়াই প্রতিদিন,
গোল ও চৌকো আলো মাটির নীচে নেমে যায়।
একা একা --
নরকে নেমে যায়। হাড়ের পাশে
গজিয়ে ওঠে মানুষের তুচ্ছ রবাব।
প্রস্তাবনায় ম্যাজিকাল কিছু পংক্তি পাওয়া গেলো
ReplyDelete'Prostaabona' kobita ti besh laaglo! :)
ReplyDeleteতিনটি কবিতাই ভালো লেগেছে। প্রথম ও দ্বিতীয়টা বেশি ভালো। প্রস্তাবনা সেরা।
ReplyDeleteপ্রতিটি লাইন, প্রতিটি কথা অসামান্য। দারুণ লেগেছে।
ReplyDeleteযদিও "সারাদিন হাঁটার পর একোরিয়ামে মাছ
ReplyDeleteজুতো খুলছে।" তা'ও এ লেখা ক্লান্ত হবার নয়
লাবণ্য লাবণ্য বলে ডাকছে পৃথিবীর শূন্যগুলিকে---অসাধারণ ।
ReplyDelete