।
কোথায় পালক। আর। কোথায় যে
ডানা
রাষ্ট্র ফেলে শেষমেশ দেশ নেবে নাকি
।
বেলোয়ারী চুড়ি হয়। জানালাও হয়
হৃদয়ে পাখির চোখ। পরিচয়। নখ
।
ধোঁয়া ভালবেসে ঘরে। চিমনি
রেখেছ
শীতের পরোয়া। তুমি অত তো করো না
।
ঘরের বাহিরে যাও। যাও। যাও। যাও
দ্যাখো। আজ আগাছায় বাহার লেগেছে
।
ঘরের পেছনে শুয়ে। ভালো কালো রোদ
পিঠ যথা কেঁদে কেঁদে বেঁকে যায় কারো
।
মেথরের সিঁড়িটিতে। মরিচা পড়েছে
পাতাবাহারের ধুলো। জল দাও প্রিয়
।
অভ্যাস যে বিষাদের আরেক নাম। জানো
কবিতা লেখো তো লেখো। ছাপতে চাও কেন
।
ওই মূঢ় জনগণ। কূট ও কুটুমে
শোনো। ওরা সূক্ষ্মতার ধারও তো ধারে না
।
করাত চালায়। নাকি বেহালা বাজায়
ভোর। নাকি বেলাশেষ। কিছুই খোঁজে না
।
হুদাই লাফাও তুমি মানুষ মানুষ
তোমার মনের কাচ। পৃথিবী ভেঙেছে
।
কতখানি ফাঁস ছিল। কতটা যে টান
শুধু তো তুমিই জানো। আর কেউ নয়
।
মিছিলের ফাঁকে দ্যাখো অরবের দাগ
নীরবের দীপ্র রাগ। চুপের আবেগ
।
পাখিপোষা লোকগুলো হুশ ইট রেখে গ্যাছে
লাইনে রয়েছে বটে। সমবায়ী নয়
।
পুড়ে গিয়ে কেঁদে ওঠে। দেবতারা
পারে
পোড়া আর বেঁচে থাকা মানুষের। ধাত
।
সবুজের গ্রাম। ঘর। সকালের আলো
সঠিক সময়ে। ঠিক। পাতা ঝরে যায়
।
পাতা তো খসেছে। যাতে হাওয়া তাকে পায়
হাওয়া। তাকে খেয়ে নেয় নিজের হলুদে
🍂
১ গাছ। রূপ মাখে অনেক গাছের
সারাদিন। রোদ নেয়। ১ টানা রোদ
।
তোমার চোখের গাছ। আমার হবে না
তোমার চোখের গাছ। আমার হবে না
আমি বুঝি গাছ হয়ে গাছ দ্যাখা হয়
।
আমি দেখি। নদীহীন মানুষের বালি
ঠিক কত ব্যাঙ পেলে সাপ পোষা যায়
।
যত আটা পেলে কিছু রুটি সেঁকা যায়
টাকার শরীরে থাকে ততটা। কাগজ
।
রুটি ফেলে বই কেনে। এমনও মানুষ
দেবতা তো নয় তারা। নেহাৎ রসিক
।
কাগজে যে মিশে থাকে গাছের বিলাপ
অনেকেই। ল্যাপটপে কবিতা লেখে না
।
কাগজে তামাক পোড়ে। সিগারেট 🚬 নাম
পাতাপোড়া বিড়িদের জাতকূল। নেই
।
ভেজালের ভয়ে তুমি খাবার তামাক কেনো না
এ ক্যামোন আচরণ। শেখো। অনুপম
।
এখানে লরিতে চেপে। কারুকাজ আসে
ভাড়া। গুনে দিতে হয় তারিখ হিসেবে
।
প্রেমের পূজারী তুমি। বোকাচোদা কবি
তাহলে কী করে অ্যাত গৃহদাহ করো
।
তোমার যা পরকীয়া। অন্যের জীবনে
স্বর্গের প্রোটিন নয়। স্পার্মব্যাংক ছিল
।
যে ঘরে লেগেছে গাঢ় আগুনের। দাগ
ধোঁয়ার ঈশারা নিয়ে সেখানে। সে আছে
।
ফুলের নিঃশ্বাস। থেকে রং চুরি করো
বৌয়ের শরীরে। যথা। বান্ধবীর ডোর দ্বার door
।
শরীরে এল না সে তো। দেহে খুব আসে
পরণে চিকন শাড়ি। চোখে। মণি নেই
।
কুয়াশার মহিলাকে। ওভারটেক করি
ঠাণ্ডা সে। হাইওয়ে। কালো। ও কঠিন
।
যে মেয়েরা নদীপাড়ে হেগে এসেছিল
যে ছেলেটা সভয়ে তা দেখে ফেলেছিল
।
নদীজলে বাঁড়া ধোয় আজ ১ লোক
গুদ তাকে কী যে দেবে। ভালো কি
বাসিবে
।
মন্দিরের পাশে ওই। হাড়কাটা গলি
সামাজিক ফুল হাড় নিয়ে ছুটেছে পুরুত
।
ছোট গাড়ি। ছুটে গেলে ব্রিজ কেঁপে যায়
নদী তো মুখিয়ে থাকে। ইটভাটা খাবে
।
মানুষ পালিয়েছিল। গ্রাম। পড়ে ছিল
।
নদী গেলে দুঃখ হয় শিশু। শ্রমিকের
তার বাবা মাল খেয়ে মুখ ধোবে কই
।
বীজধানে শেষমেশ। ক্রেডিট দিল না
ব্রেন ভালো। লাংস ভালো। রোদ আরো ভালো
।
রোদ চোদে। সাঙ্ঘাতিক। কারেন্সির চেয়ে
ব্যাংক ফুঁড়ে ঢুকে যায়। পোয়াতি করেছে
।
রোদ ⏭ রোদ ⏭ রোদ ⏭ রোদ ⏭ রোদ চাই প্রিয়
⛅
⛅
খ্যাতি নয়। যশ নয়। আলোর সুনাম
।
বসন্তে যে লাল হাওয়া থৈ থৈ করে
এসো তার দই হই। চাটার চামচ
।
অ্যাতটা যে হাল্কা আর আঁকাবাঁকা। লেখা
২ পাতা পেরিয়ে গেলে। ১ পাতা হয়
।
ছবিতে যে রেখাগুলো। সঠিক কোরো না
খোঁজার তাহলে কিছু বাকি থাকবে না
।
রাষ্ট্রের খাতায় আছে কবিতার বাকি
তুমি তা ভাঙাবে বলো।পাপী পাখি। অনুপম
তুমি তা ভাঙাবে বলো।
।
🌈 🍷
চিত্রঋণ : দিয়েগো রিভেরা
একটা কবিতা হিসাবে পড়লাম না, প্রত্যেক দুলাইনই সতন্ত্র কবিতা হিসাবে এনজয় করলাম
ReplyDeleteবুঝতে পারছি না কার কমেন্ট। সেই অনামা বা অনাম্নীকে আমার ধন্যবাদ।
Deleteরুটি ফেলে বই কেনে এমনও মানুষ
ReplyDeleteদেবতাও নই তারা নেহাৎ রসিক
অন্যরকম স্বাদ
ধন্যবাদ পলিয়ার
Deleteদুর্ধর্ষতম কবিতা পড়লাম আজ সকালেই। আজ সারাদিন আর এত ভাল কবিতা পড়ার সৌভাগ্য হবে কিনা জানি না।
ReplyDelete"ছোট গাড়ি। ছুটে গেলে। ব্রিজ কেপে যায়
নদীতো মুখিয়ে থাকে। ইটভাটা খাবে "
কি অপূর্ব লাইন , আহা ,
ধন্যবাদ রঙ্গন। ভালোবাসা রইল।
Deleteঅনুপম অনুপম বস্তুটা মিস করলাম। বাকিটা ভাল লাগলো...
ReplyDeleteধন্যবাদ আশফাক। হ্যাঁ, নিজের থেকে বেরোতে চাই এবার। আবার।
Deleteকোনো একদিন এথ্থেকেও ভালো লিখব আমি...হু হু
ReplyDeleteআমিও তো এর চেয়ে খারাপ লিখব প্রিয় মৌসম... হা হা
Deleteএই যে প্রতিনিয়ত নিজেকে অতিক্রম করে যাওয়ার একটা প্রচেষ্টা--এটি আজকাল খুব কম কবির মধ্যেই দেখা যায়। আপনার নাম না থাকলেও বোঝা যায় এটি আপনার কবিতা। ভালো লাগলো, বেশ ভালো লাগলো।
ReplyDeleteধন্যবাদ। সুখী লাগছে নিজেকে।
Deleteআমার বেশ অনুপম লাগলো কবিতাটি :-)
ReplyDeleteধন্যবাদ দেবব্রত :) আমি সুখী। বিশ্বাস কর।
Deleteকবিতা পড়তে গেলে সব কবিতা ভালো লাগে কি না জানানো সম্ভব নয় । এক ঝটকায় বলা যায় বলে আমার বিশ্বাস নেই । অতি উচ্ছাস যেমন থাকে না, তেমনি নেগেটিভিটিও থাকে না । তবে কবি যদি খুব কাছের হয় তুরন্ত বলে দিই ঝক্কাস লিখেছিস ভাই । কিছু কবিতা তাই বার বার পড়তে হয় । আবিষ্কারের ও একটা নেশা থাকে । তার পরিসর ও ব্যাপ্তি ধীরে ধীরে গ্রাস করে ওঠে । একটা ধারনা বা চিত্রকল্প বা ডিনামিক্স তৈরী হতে থাকে । বলা যায় একটা মতামত গড়ে ওঠে । কবির স্থান একটু একটু করে পাঠকের মনে জায়গা করে নিতে থাকে । এক কথায় তাই ওয়াও বলা যায় না । যেটুকু বলা যায় এর মধ্যে একটা ভাবনা আছে, আধুনিকতা আছে , আগামীর সম্ভবনা আছে । কবিতার জন্ম দিতে দিতে কবিও একদিন কবিতা হয়ে যান । কবিতা নিয়ে শোয়া, স্নান , খাওয়া সবই চলে । এমন কবির কবিতা অনেকদিন পাঠক মনে রাখে ।
ReplyDeleteধন্যবাদ পীযুষ। কথাগুলো মূল্যবান।
Deleteচমৎকার অনুভূতিময়
ReplyDeleteধন্যবাদ
Deleteতুমি যে পার হয়ে আসছ আক্রমণের রক্ষণশীলতা, এবার ভাল হবে কবিতার। সচেতনতা নষ্ট হোক। এমনি কথা বলো একা। তুমি অত্যন্ত শক্তিশালী ফিলজফার, এটা আমার পর্যবেক্ষণ।
ReplyDeleteধন্যবাদ
Deleteছবিতে যে রেখাগুলো সঠিক কোরনা/ তাহলে খোঁজার কিছু বাকি থাকবে না
ReplyDeleteএকটা একলা গলার একলা চলার একলার বলার নির্জনতা ছাপিয়ে যাওয়া নিয়ে গেল , সে খোঁজের দিকে, বরাবরের মতই---আহা
"তোমার যা পরকীয়া...বান্ধবীর door" এটুকু অংশ আমাকে খুব টেনেছে।
ReplyDeleteএই কবিতার প্রথম ভাগে নোট-বন্দি ছাপ ফেলেছে। যা, আরেকটু 'পরিপাক' হয়ে এলে আমার ভালো লাগত।
শেষ অংশটা যেন কবির ক্লান্তি ধরিয়ে দেয়। ...অনুপমের থেকে অনুপম বেরোতে চেয়েছেন কিছু জাগায়, তার চিহ্ন আছে; যা আগেকার অনুপমকে এগিয়ে দেয় না। ...আর অনুপমীয় 'মজা' খাঁজে-খাঁজে, বেশ ভালোমতোই, এখানেওঃ নিরাশ না হবার পক্ষে সেটুকুই অনেক। ...কবির যাত্রা ও খোঁজ কে বাহবা যানাই।
...
Deleteজীবনজল যৌনজল কবিতার নির্মাণশৈলী আমাকে আকর্ষণ করেছে । কিছু কিছু শব্দ প্রয়োগ কবিতাকে অযথা ভারী করে তুললেও কবিতাটি শেষ পর্যন্ত খাটি সোনা হিসাবে প্রতিফলিত , এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই । তবে মৌলিক কিনা সে বিষয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে ।
ReplyDeleteআন্তরিক ধন্যবাদ। বিতর্কটা আপনিই শুরু করুন। তার চেয়ে স্বাস্থ্যকর আর কী হয় একজন কবির পক্ষে। প্রয়োজনে আমিও অংশ নিতে পারি। প্রশ্ন ভালোবাসি আমি।
Deleteকতখানি ফাঁস ছিল ...... আর কেউ নয়, আমি দেখি........ সাপ পোষা যায়, সব শেষ খ্যাতি নয় যশ নয় আলোর সুনাম,
ReplyDeleteএই লাইন গুলোয় থেকে যেতে ইচ্ছে করছিল। আর খুব সত্যি কথা প্রতি ২ লাইনেই ১ টি কবিতা খুঁজে পাওয়া গেল। উপভোগ করলাম।
ধন্যবাদ শম্পা
Deleteকল্পনার সূত আর মহাভারত নিয়ে লেখাগুলোর মতো এই কবিতাগুলোও অনেকদিন ফুরিয়ে ওঠা যাবে না বেশ বুঝতে পারছি...
ReplyDeleteধন্যবাদ প্রমিত
Deleteশাড়ির অসুখ হলে যতটা সে পেঁচিয়ে ধরে কোমর এটাও তেমনই যেন... দারুণ
ReplyDeleteকেয়াবাৎ
Deleteভেবেছিলুম, পুনরাধুনিকে বোধহয় বাঁকবদল সম্ভব নয় । বাঁকবদল ঘটিয়ে ফেলেছ, তাছাড়া ভেতরে ভেতরে দুটি লাইনের মন্হন ঘটিয়ে অমৃত আর বিষের সমন্বয় ঘটিয়ে ফেলেছ । বহুত খুব, বহুত খুব ।
ReplyDeleteঋণ মলয়দা
Deleteদুর্ধর্ষ কবিতা লিখেছ ,অনুপম । চমকানো প্রচ্ছদ । শরীরে এল না সে তো দেহে খুব আসে --ওঃ ।কথা হবে না ।
ReplyDeleteধন্যবাদ সুবীর-দা
Delete