শাহানা আপা
১
সন্ধের দু তিন বিঘৎ পরেই
শাহানা আপার চোখ সেখানে
লণ্ঠনঝড়ে অজস্র উড়ছে পারাবত—
আপা প্রতিদিন রাস্তা পার
হয়
গীতবিতানের মাঝে—
গীতবিতানের মাঝে—
বিশ্রুত হিংসার পাশে
সেটুকুই পরিত্রাণ!
২
শাহানা আপার সাথে রোজ কথা
হয়
জামগাছটির—
সেখানে ভ্রমর বসে গ্রহণীয় করে তোলে ফুল!
জামগাছটির—
সেখানে ভ্রমর বসে গ্রহণীয় করে তোলে ফুল!
কোনো এক সাইকেলঅলা আতার
বাগানে ঢুকে
ভুল করে শ্রাবণ!
যেন এক গাঙের ডাহুক তার বৃষ্টিতে ফেলে যায় ওড়া আপা,
ভুল করে শ্রাবণ!
যেন এক গাঙের ডাহুক তার বৃষ্টিতে ফেলে যায় ওড়া আপা,
অয়নপথের ছবি আঁকে—
মাছের পেটির পাশে যে সকাল বস্তুত
তুলোবন—
পাতাদিন স্রোত আর ঝোলমাখা হাত নিয়ে
শাহানা আপা কবুতর ডাকে
আ আ আ আ...
মাছের পেটির পাশে যে সকাল বস্তুত
তুলোবন—
পাতাদিন স্রোত আর ঝোলমাখা হাত নিয়ে
শাহানা আপা কবুতর ডাকে
আ আ আ আ...
৩
দুপুরের সাইকেলঅলা কোনোদিন
এ পথে না এলে
আপা প্রার্থনা করে জানের সদকা দিয়ে—
যেন উঠোনের শিমফুলে হেলে থাকে রোদ!
আপা প্রার্থনা করে জানের সদকা দিয়ে—
যেন উঠোনের শিমফুলে হেলে থাকে রোদ!
অবশিষ্ট বাউলের দেশে
আপা গান হয়ে, দধির ঘনত্ব হয়ে নেমে আসে কবুতরবনে—
আপা গান হয়ে, দধির ঘনত্ব হয়ে নেমে আসে কবুতরবনে—
কয়েকটি
শিশু-জাম তাকিয়ে থাকে দাওয়ায়!
এইসব গার্হস্থ্যদিন
কুরুশকাঁটায় বোনে
শান্ত সোয়েটার—
শালিক-ব্যাথার পাশে আমাদের বোনগুলো
খুলে রাখে দুল!
এখানে বৃষ্টিকে ডাকা হয় কার্পাস বলে—
শান্ত সোয়েটার—
শালিক-ব্যাথার পাশে আমাদের বোনগুলো
খুলে রাখে দুল!
এখানে বৃষ্টিকে ডাকা হয় কার্পাস বলে—
৪
ও গাঁয়ের বাতাস এইপথ থেকে
পাতা নিয়ে গেলে
কেমন অচিহ্নিত হয়ে পড়ে দিক—
আপা দাঁড়িয়ে থাকেন পাঁচ কালেমার ভীড়ে!
গোধূলীর আলো চেটে কয়েকটি ষাঁড়
ফিরে আসে বাড়ি—
কেমন অচিহ্নিত হয়ে পড়ে দিক—
আপা দাঁড়িয়ে থাকেন পাঁচ কালেমার ভীড়ে!
গোধূলীর আলো চেটে কয়েকটি ষাঁড়
ফিরে আসে বাড়ি—
মাগরিবের শূন্যতা ঘিরে
কেবল শাহানা আপাই ঢেউ
যেন ধুধু এক মাঠ
আপার জায়নামাজ ভরে যায় বরুণ ফুলের ডাকে!
এইসব পত্রমোচী বন নিয়ে আসে বেহাগের ধ্বনি—
যেন ধুধু এক মাঠ
আপার জায়নামাজ ভরে যায় বরুণ ফুলের ডাকে!
এইসব পত্রমোচী বন নিয়ে আসে বেহাগের ধ্বনি—
চৌকাঠ পার হয়ে আপা শুনতে
পান
প্রকৃতিপুরুষরূপী এক হাওয়া সারারাত ডেকে যায় বনে!
প্রকৃতিপুরুষরূপী এক হাওয়া সারারাত ডেকে যায় বনে!
(চিত্রঋণ : ইউজিন ডি ব্লাস)
Khub bhalo laaglo!
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ
Deleteদারুণ সুন্দর
ReplyDeleteঅসম্ভব ভালো লাগল। অন্যরকম। এবং দারুণ কবিতা।
ReplyDelete'কোনো এক সাইকেলঅলা আতার বাগানে ঢুকে
ReplyDeleteভুল করে শ্রাবণ! ' বেশ লাগলো...
আমি হাসানকে বন্ধু কবি হিসাবে পেয়েছি অনুপম এর দৌলতে । আসলে ফেসবুকে অনুপমের পেজ দেখে আমি হাসানকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম , তারপর তো ইতিহাস । প্রতিদিন ওর কবিতা পাঠ করার সুযোগ পাই । হাসানের কবিতা পাঠ করলে মনে হয় যে কবিতাটি আমি ছেয়েছিলাম ,যেন সেটাই পেলাম । ওর কবিতার ভাষা , ব্যঞ্জনা , শব্দচয়ন এতটাই নতুন যে পাঠককে গভীরভাবে আকৃষ্ট করে । শাহানা আপা আমি আগেও পড়েছি । আজ আবার ফিরে পড়লাম । ক্লান্তি আসে নি । অপূর্ব চিত্রকল্প !
ReplyDelete"এখানে বৃষ্টিকে ডাকা হয় কার্পাস বলে" আর কি'ই বা বলার থাকে...
ReplyDeleteপ্রতিটা লাইনে পেলাম নতুনত্ব৷ বহুদিন পড়িনি এমন লেখা৷ কবিতার মধ্যে শান্তভাব বিরাজ করছে, মনের মধ্যে যেন কোথায় যাওয়ার
ReplyDeleteকিছু চেতনার কাছে, পড়তে ফলতে দারুণ লাগে
ReplyDelete