মাটিয়ালি গান
গমবনে মানুষ হলাম—আমি ভেতোশাক
আকাশ উত্তীর্ণ হয়ে বুঝি
ভুলে গেছি—মাটিবর্তী মানুষের গান!
বেলেশাকের কথায় ধরো—
নিজেকে বিছিয়েছে সে—মাটিরই বিছানায়
ভালোবাসি থানকুনিপাতা
তবুও বন্ধুরা হলো—শিয়েলের কাটা!
আমি হাটি—জাজিমের মতো রক্তিম আকাশ
আবার মুখস্ত করি সান্ধ্যকালীন গাভীন গমক্ষেত!
সজনে ও তেলাকচু
সজনে পাতার মতো ঝুরঝুরে—আমি
তুমি তেলাকচু লতা—যেন বা জড়ায়ে থাকো
নড়া-চড়া আজকাল মড়ার মতোন
দাঁড়াতে পারি না—
না পারি, বাড়াতে হাত
এ রেইনফরেস্টের ছায়ার নিচে
দ্যাখো—তিতোহাসি বিলাচ্ছে
পদে পদে প্রতারিত—দক্ষ নিমগাছ!
মাটির আঁচল ছোঁবো
মায়ের কথা খুউব... মনে পড়ছে। মাটির কথাও। বাবার মাঠের
ধান কেমন আছে? খুব ইচ্ছে করছে তাও জানতে। দাদীর তইতইগুলো; সারা দিন কানের কাছে প্যাকপ্যাক
করে। নানীর হাতের চুড়িদুটো; নানা মরার পর কেমন যেন রংচটা হয়ে গেছে। পীরো চাচা মরলো—মনা
কবরে গেল—আলি হাসানের টুকটুকে মেয়েটাও নাকি চলে গেছে জম্মের মতো! কাউকে দেখতে পেলাম
না। মা আমি তোমার কাছে থাকবো—আর মাটির ঘরে শোব। আমার আর কোনো চাওয়া নেই। আমি কৃষকের
ছেলে মা—মাটি জল পাতা ছাড়া কীভাবে বাঁচি?
বাবা; তুমি মন খারাপ করলে নাকি? তুমি মাটিতে বীজ দাও—আমি
এসে মমতার মই দিবো।
(চিত্রঋণ : Shin Jong Sik)
কবিতাগুলো বেশ লাগল। একটা মায়াবী টান আছে।
ReplyDeleteযুগান্তর দা আপনাকে ধন্যবাদ
Deleteআমি হাটি—জাজিমের মতো রক্তিম আকাশ
ReplyDeleteআবার মুখস্ত করি সান্ধ্যকালীন গাভীন গমক্ষেত।-- দারুণ।
শেষটা ইমোশনাল করে দিলো...
খুবই অনুভবই প্রবণ লেখা আপনার। খুব ভালো
ReplyDelete